বরগুনায় বিএনপি’র গনমিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জ \ বিএনপি অফিস ভাংচুর শহর রনত্রে সাংবাদিক ও পুলিশ সহ আহত ৩০ গ্রেফতার ২২

শাহ্ আলী, বরগুনা জেলা সংবাদদাতা : জেলা বিএনপি’র গন মিছিলে পুলিশের বাধা ও হামলার সাথে সাথে উভয় পরে সংঘর্ষে শহর রনেেত্র পরিনত হয়। এসময় পুলিশ, সাংবাদিক, দলীয় নেতা কর্মী সহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কয়েক জনকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ২২ জনকে আটক করেছে

কেন্দ্রীয় ভাবে ঘোষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)‘র গনমিছিলের কর্মসূচী বা¯—বায়নের লে সংগঠনের বরগুনা জেলাশাখা গতকাল এক গনমিছিলের আয়োজন করে। সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হতে থাকে। এসময়ে পুলিশ অফিসের দু‘দিক থেকে বেড়িকেট দিয়ে রাখে। সকাল ১০টায় মিছিল শুর“ করতে চাইলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। এসময়ে শহরের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক নেতা কর্মী একটি খন্ড মিছিল বেড় করে সদর রোডের পূর্বদিকে যাওয়ার সময় কোন প্রকার উসকানী ছাড়াই পুলিশ পিছন দিক থেকে লাঠিপেটা শুর“ করে। শুর“ হয় উভয় পরে মধ্যে সংঘর্ষ। এসময় চরকলোনী ও সোনাখালী সহ পূর্ব এলাকার দলীয় নেতাকর্মী এক বিশাল মিছিল নিয়ে ব্রীজ পর্যš— এলে পুলিশ বাধা দেয়। এখানে পুলিশের লাঠি পেটায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পান্না ও আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দলীয় সেক্রেটারী রিপন মারাত্মক ভাবে আহত হয়। বিুব্ধ মিছিল কারীরা পুলিশ বেড়িকেট উপো করে আহত দু’জনকে একটি ভ্যান গাড়ীতে তুলে এড. আঃ হালিমের নেতৃত্বে দলীয় অফিসের দিকে নিয়ে আসার পথে পৌর মার্কেটের সামনে পুলিশ বাধাঁ দেয়। এসময়ে উভয় পরে মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ বাধলে তা মূহুর্তের মধ্যে সমগ্র শহরে ছড়িয়ে পরে। পুরো শহর পরিনত হয় রন েেত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ প্রথমে কয়েক রাউন্ড কাদোঁনে গ্যাস নিপে করে, এবং পরে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে কয়েক জন পথচারী ও মিছিলকারী আহত হলে উত্তেজিত নেতা কর্মীরা পুলিশকে ধাওয়া করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারে । এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ , দৈনিক মুক্ত খবরের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক দ্বীপাঞ্চলের ম্যানেজার মোঃ আইয়ুব আলী, বরগুনা শহর মুদি মনোহরী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ কবির“র রহমান সহ বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়। পুলিশ আত্মরার জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে ছুটে যায়। কর্মরত মহিলা পুলিশরা আত্মরার জন্য পৌর মার্কেটের একটি দোকানে আশ্রয় নিলে দোকানী ষার্টার আটকিয়ে তাদের রা করে। ্এসময়ে মাঠ দখল করে নেয় বিএনপির নেতা কর্মীরা। তাদের সাথে যোগদেয় সাধারন জনতা। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতংক। বন্ধ হয়ে যায় সকল দোকানপাট। বিুব্ধ কর্মীরা পৌর ভবনের সামনে পুলিশের দু’টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। এসময়ে তারা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ছুটে আসেন ম্যাজিষ্ট্রেট। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। শহরে থম থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন ফকির এ প্রতিনিধিকে বলেন ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে পুলিশের ১০/১২জন সদস্য আহত হয়েছে। এব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনা স্থল থেকে ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদš— করে নিরাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হবে।

 

Free Web Hosting