ফুলপুরের ঐতিয্য দত্ত গার্ডেন বেদখলের পায়তারা

বিএনপি নিউজ ২৪ প্রতিবেদক, ফুলপুর (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা সদরের ছনকান্দা বাজারের একমাত্র পার্ক সদৃশ্য ঐতিয্যবাহী দত্ত গাডের্নের গাছপালা কেটে বিনষ্ট করে একটি মহল বেদখলের পায়তারা করছে বলে বাগানের মালিক অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া তাকে বেদম মারধরসহ পরিবারের সবাইকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখায় সংখ্যালগু পরিবারটি চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিনোদন পিয়াসীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, একটি প্রভাবশালী মহল জমির মালিক দেবাশীষ দত্তকে দীর্ঘদিন ধরে জমি থেকে উচ্ছেদ করে বেদখল করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে তিনি ৮ সেপ্টে¤^র ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত বৃহসপতিবার ভোরে প্রতিবেশী ফজলুল হকের প্রায় ৬০-৭০ জন ভাড়া করা গুন্ডা দেশীয় অস্রশস্্ের সজ্জ্বিত হয়ে বগানের গাছপালা কেটে কাটাতারের বেড়া দিয়ে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ জমি বেদখলের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে দেবাশীষ দত্তকে বেদম মারধর করে ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে এবং কাটাতারের বেড়া দিয়ে তার ঘর হতে বেরুনোর পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে কাটাতারের বেড়া কেটে তাকে উদ্ধার করেন। এব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে আসামিগন জামিনে এসে গত শনিবার দুপুরে তার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া বাজার সংলগ্ন তার কিছু দোকানপাট ও বাসাবাড়ির ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এতে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। দেবাশীষ দত্ত জানান, ছনকান্দা বাজারের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৮৪ শতাংশ জমিতে জন্মলগ্ন থেকেই বসবাস করে আসছেন। এলাকার মানুষের বিনোদন ও সবুজ বিপ্লবের কথা চিন্তা করে এখানে একটি মনোরম বাগান সৃজন করেন। এতে তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধরণের দুর্লব বৃক্ষ ও সুন্দর্য বর্ধনকারী বৃক্ষ রোপন করে স্থানটিকে একটি মিনি পার্কে রূপান্তর করেন। যা ব্যাক্তি উদ্যোগে সৃজিত এমন মনোরম স্থান ময়মনসিংহ এলাকায় অনন্য দৃষ্টান্তে পরিণত হয়। তিনি অভিযোগে জানান, ভূমিদস্যু ফজলুল হক দীর্ঘদিন ধরে তার দুই ভাই ভারতীয় নাগরিক শেখর দত্ত ও স্নেহাশীষ দত্তকে বিভ্রান্ত করে ভ’য়া দলিলের মাধ্যমে জমি বেদখলের অপচেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের দত্তবাড়ি বিক্রি করে তার দুই ভাইকে পৈত্রিক ওয়ারিশ সম্পত্তির মুল্য বুঝিয়ে দেয়ায় তারা এ জমির অংশীদার নন। কিছুদিন আগে জানতে পারেন ফুলপুর ভ’মি অফিসে তার দুই ভাইয়ের নামে জমি খারিজ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ দায়ের করলে খারিজটি বাতিল হয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন ফজলুল হক ভ’য়া দলিলের মাধ্যমে জমির দুই তৃতীয়াংশ কিনে নিয়েছেন এরই ধারাবাহিকতায় ফজলুল হক তার দলবল নিয়ে জমি বেদখল ও তাকে মারধর করে। এ ছাড়া তার ভাইয়েরা জমি বিক্রি করে ভারতে টাকা পাচার করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফজলুল হক জানান, টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। বিক্রেতারা ভারতীয় নাগরিক এবং বিদেশে মানি লন্ডারিং করেছেন কী-না আমার জানা নেই।


 

Free Web Hosting