“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরাও চাই তবে…এমকে আনোয়ার

বিএনপি নিউজ ২৪ প্রতিবেদকঃ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরাও চাই। কিন্তু পাকিস্তানের ১৯৫জন যুদ্ধাপরাধীকে যারা ছেড়ে দিয়েছে আর বর্তমান মন্ত্রিসভায় যেসব যুদ্ধাপরাধী আছে তাদের বিচার আগে করতে হবে।”বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।‘মানবতাবিরোধী বিচারের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ গোলটেবিলের আয়োজন করে সুশীল ফোরাম। এমকে আনোয়ার বলেন, “সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলো। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাদ দিয়ে মানবতাবিরোধীদের বিচার করছে। তারা চিৎকার করে বলছে বিএনপি’র সব কার্যক্রম নাকি এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে। আমরা পরিস্কার বলেছি যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে আমরা নই।”তিনি বলেন, “যে আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা হচ্ছে সে আইন সম্পর্কে সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা আপত্তি জানিয়েছে। তারা বলেছে এই আইন সংশোধন করতে হবে। এই বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। আমরাও এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।”তিনি আরো বলেন, “শেখ মুজিবের সময় যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য এক লাখ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেখান থেকে সাত’শ লোককে সাজা দেয়া হয়েছিল, সেই সাত’শর মধ্যে আজকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের একজনের নামও নেই।”এমকে আনোয়ার বলেন, “এই সরকার দেশকে আজ এক মহাসঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার অর্থ সরকারের হাতে নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে তাতেও হচ্ছে না। এখন বিদেশ থেকে ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে।” তিনি সরকারকে এই আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।তিনি অভিযোগ করেন, বিমানবন্দর ফ্লাইওভারে মতো বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই শেয়ার বাজারে ধস নামে বলে দাবি করেন এমকে আনোয়ার। তিনি বলেন, “৯৬ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি শেয়ার বাজার বুঝেন না। আবার বর্তমান অর্থমন্ত্রীও বলছেন তিনিও শেয়ার বাজার বুঝেন না। যদি তারা না-ই বোঝেন তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা দেশ চালাতে পারে তারা দায়িত্ব নিক।”এমকে আনোয়ার বলেন, “নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে সরকার নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি’র বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের জাল ফেলেছিলেন তা প্রকাশ হয়ে গেছে। সরকার সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করে সংবিধান লংঘন করেছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিলো হয় এর প্রতিবাদ করা না হয় পদত্যাগ করা।”নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা সুপ্রীম কোর্টে গিয়ে কেনো মামলা করলেন না। তা না করে আপনারা বলছেন সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করবেন। একটি পত্রিকায় দেখলাম চার ভাগ মানুষ মনে করে আপনারা বোঝাপড়া করতে পারবেন। আর বাকি ৯৫ ভাগ মনে করে কোনো বোঝাপড়া করতে পারবেন না।” তিনি আরো বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ সব ধ্বংস করা হয়েছে।”সংগঠনের সভাপতি মো. জাহিদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এশিয়ান হিউম্যান রাইট’স ফোরামের চেয়ারম্যান রেজাউল কবির রেজা, যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক ইউসুফ বিন আবদুল জলিল, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসেন ইসা, কামরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

 

 

Free Web Hosting