আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী দল—-এমকে আনোয়ার

বিএনপি নিউজ ২৪ প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ‘ভানুমতির খেল’ দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার তিনি বলেছেন, “সেনাবাহিনী না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করায় একদিন প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন হুট করে সেনাবাহিনী চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এটা ঠিক নয়। ১৫ দিন আগে চাওয়া হয়েছিল। আর সেনাবাহিনী মোতায়েন না করায় নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে মামলা না করে অথবা পদত্যাগ না করে তারাও সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য তাদেরও একদিন বিচার হবে।”শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।‘জাতীয় সংসদে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও সংসদীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’ শীর্ষক এ গোলটেবিলের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামে একটি সংগঠন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।এমকে আনোয়ার বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কিছু করে না। তারা খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান আর বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা করতে ব্যস্ত থাকে। আমাদের দুর্ভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষায় কথা বলেন তা কোনো সভ্য দেশের ভাষা নয়। তিনি (প্রধানমন্ত্রী ) দেশে বিদেশে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন।”তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রীর ১৫টি মামলাসহ সাত হাজার ৬১টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিকারী, ডাকাত ও খুনিদের নামে এসব মামলা ছিল।”এম কে আনোয়ার বলেন, “বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির জন্য পদ্মা সেতুর ঋণ স্থগিত করায় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এটা বিএনপির দুর্নীতির কারণে হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই বিএনপির আমলে কোনো প্রকল্পে দুর্নীতির জন্য বিশ্বব্যাংক ঋণ বন্ধ করেনি।”তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী দল। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শেখ মুজিব সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিলেন।”তিনি আরো বলেন, “নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী বলেছেন, ‘বিচার বিভাগেই এখন সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে’। সাবেক প্রধানবিচারপতি বলেছেন, ‘ন্যায় বিচার এখন কাচের ঘরে বন্দি’। এ অবস্থায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।”অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, এলডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, শ্যামা ওবায়েদ, এইচএম আল আমীন প্রমুখ।

 

 

Free Web Hosting