আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগর্তিতে মানুষ দিশেহারা-ড. মোশাররফ

বিএনপি নিউজ ২৪ প্রতিবেদকঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ ছাড়া আর কিছুই নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া এদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।” বুধবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ড. মোশাররফ বলেন, “সংবিধানের ১২৬ ধারায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন যেকোনো নির্বাচন করার জন্য যা চাইবে সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু সরকার সেনাবাহিনী না দিয়ে সংবিধান লংঘন করেছে।”

তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশকে দুর্ভিক্ষ থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”ড. মোশাররফ বলেন, এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান এদেশের হাল ধরেছিলেন। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা শক্ত হাতে দমন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো জিয়াউর রহমান তা রুখে দিয়েছিলেন।”ড. মোশাররফ বলেন, ৭২-৭৫ সালে আমরা দেখেছি এই দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে আজকে যারা ক্ষমতায় তারাই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। জনগণের জীবন আজ দুর্বিসহ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগর্তিতে মানুষ দিশেহারা। আজকে দেশের সীমান্ত অরক্ষিত। ফেলানীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর প্রতিবাদে যারা রাস্তায় নামে তাদের নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়।”তিনি বলেন, “সরকার দশ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বললেও কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি।”এই সরকারের কাছে দেশ আজ নিরাপদ নয়। জনগণ নিরাপদ নয়। জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তাই জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেজন্য খালেদা জিয়া যে আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন সেই সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে।”বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিডিআরের সাবেক মহা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমদ, জাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক মোস্তাহিদুর রহমান, বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, কর্নেল অব. মোবাস্বের হোসেন, মেজর অব. মিজানুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Free Web Hosting